অন্ধকারে রংপুর হাইটেক পার্ক, ছয় মাস ধরে বন্ধ নির্মাণকাজ
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১১-০২-২০২৫ ০৫:২১:৩১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১১-০২-২০২৫ ০৫:২১:৩১ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
ছয় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে রংপুর হাইটেক পার্কের নির্মাণকাজ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এল অ্যান্ড টি চলে যাওয়ায় প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কবে থেকে কাজ শুরু হবে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত তথ্য দিতে পারছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইটি খাতে তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বন্ধ থাকা এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন।
সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, যেখানে প্রতিদিন শত শত শ্রমিকের কর্মচাঞ্চল্যে জমজমাট থাকত, সেখানে এখন বিরাজ করছে নিস্তব্ধতা। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে নির্মাণ সামগ্রী, অলস পড়ে আছে ক্রেনসহ ভারী যন্ত্রপাতি। পুরো এলাকায় হাতে গোনা কয়েকজন নিরাপত্তা প্রহরী ছাড়া আর কেউ নেই।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খলিশাকুড়ি এলাকায় ১০ দশমিক ৭৭ একর জমিতে নির্মিত হচ্ছে এই হাইটেক পার্ক। প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৫৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, যার একটি বড় অংশ ভারত সরকারের ঋণ ও বাকিটা জিওবি থেকে আসার কথা ছিল।
নকশা অনুযায়ী এখানে স্টিল স্ট্রাকচারে ৭ তলা মাল্টিটেনেন্ট (এমটিবি) ভবন, দুটি ৩ তলা ক্যান্টিন ও অ্যাস্ফিথিয়েটার এবং একটি ডরমিটরি ভবন নির্মাণের কথা ছিল। ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য থাকলেও ২০২২ সালের ২৬ মে প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করা হয়। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। সবশেষ কাজ হয় গত বছরের ২ আগস্ট।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের পর থেকেই প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে চলতে থাকে এবং ৫ আগস্টের পর একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে নিরাপত্তা কর্মীদের ছাড়া তেমন কাউকে আর দেখা যায় না।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথেও যোগাযোগ করছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে এবং প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু হবে।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হাইটেক পার্ক নির্মাণের কাজ চালু করা অত্যন্ত জরুরি। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, ‘দেশের তরুণ সমাজকে তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে নিতে এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন। তা না হলে শিক্ষিত তরুণদের জ্ঞান কাজে লাগানো সম্ভব হবে না, বরং বেকারত্ব বাড়বে।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স